সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
বরিশাল সিটি করপোরেশনের দায়ীত্ব নেয়ার ক’দিনের মাথায় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নগরী থেকে রজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বরং গত কয়েক দিনে ব্যানার-ফেস্টুনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।বিশেষ করে সিটি মেয়র সাদিককে শুভেচ্ছা জানিয়ে টাঙানো ব্যানার এখনও স্থাপনাগুলোতে ঝুলতে দেখা গেছে। অথচ মেয়র সাদিক প্রথম দফায় গত ২৫ অক্টোবর বিসিসি’র জরুরি সভায় আলটিমেটাম দিয়ে ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে। সর্বশেষ তিনি জানিয়েছিলেন তার সেই আল্টিমেটাম না মানলে বিসিসি কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে ব্যানার-ফেস্টুন বা বিলবোর্ড অপসারণ করবে।
কিন্তু মেয়রের সেই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটেনি গত ১৫ দিনেও। নিজ উদ্যোগে নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে না নিলে বিসিসি’র পক্ষ থেকে নামানোর কথা থাকলেও দেখা যায়নি এর কোনো বাস্তবতা। এমনকি নগরীর বিবির পুকুর পাড় ও অশ্বিনী কুমার হলের সামনে কোনো ব্যানার-ফেস্টুন দেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও তাও মানছেন না নেতাকর্মীরা।
রোববার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বা বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে বিশাল আকারের ব্যানার-ফেস্টুন দেখা গেছে। বিশেষ করে শহরের কাকলীর মোড় এলাকায় উদয়ন স্কুল ভবনের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ও হিরন স্কয়ারের সম্মুখে বড় বড় আকারের কয়েকটি বিলবোর্ড টাঙানো অবস্থায় দেখা গেছে।
এছাড়াও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা সদররোড, ফকির বাড়ি রোডের মুখেও রয়েছে। এমনকি আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রস্থল বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনেও ঝুলতে দেখা গেছে একাধিক ব্যানার।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলছে এখনও। বলাবাহুল্য যে, সিটি মেয়র সাদিকের ছবি সম্বলিত ব্যানারগুলোতে কখনও কখনও ছাত্র, যুব বা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামও তুলে ধরা হচ্ছে। গত ২৩ অক্টোবর বিসিসিতে দায়ীত্বভার বুঝে নেয়ার পর বরিশার নগরীকে সুন্দরভাবে সাজাতে নেতাকর্মীদের প্রতি সম্ভবত মেয়র সাদিকের প্রথম অনুরোধটিই ছিলো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের। কিন্তু মেয়রের সেই অনুরোধটি অনেকে রেখে ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে নিলেও অধিকাংশের বেশি রয়েছে টাঙানো। এমত অবস্থায় বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও বিষয়টির দিকে খেয়াল দিচ্ছেনা। বরং বলছে, ‘দেখছি কি করা যায়’। আবার কোনো কোনো কর্মকর্তা বিসিসিতে নতুন নির্বাহী কর্মকর্তার যোগদানের বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে বলছেন, খুব শীঘ্রই উদ্যোগ নেয়া হবে ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে।এমন বাস্তবতায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ কি পদক্ষেপ নেন সেটিই এখন দেখার অপেক্ষায়।
Leave a Reply